ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পৃথক বাণী
![]() ফাইল ছবি। নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন,“সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২১’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র যা মানুষকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অন্ধত্ব থেকে মুক্ত করে আলোর পথে পরিচালিত করে। মানব সভ্যতার সুদীর্ঘ পরিক্রমায় মানুষের চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার অপরিসীম ভূমিকা রেখে চলেছে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে গ্রন্থাগার হচ্ছে একটি জাতির জন্য আলোকবর্তিকাস্বরূপ। একটি সুশিক্ষিত, আধুনিক এবং উন্নত চিন্তা-চেতনা ও নৈতিকতাসমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশের লক্ষ্যে যথার্থ জ্ঞানার্জন, গবেষণা, দেশজ সংস্কৃতি চর্চা তথা অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল মনন ও মানসে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ করেছে বহুমুখী পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড। জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গ্রন্থাগারের সার্বিক উন্নয়নে এবং এর সেবা কার্যক্রমকে সমৃদ্ধকরণে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নানা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নতুন প্রজন্মের সম্মুখে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে দেশের প্রতিটি সরকারি গণগ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপনের প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে গ্রন্থাগার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে স্কুল পর্যায়ে লাইব্রেরি ঘণ্টা চালুর জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদানের লক্ষ্যে শাহবাগস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের অনলাইন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন গ্রন্থাগার সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের মাধ্যমে বই পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি জেলার পাঠকের দোরগোড়ায়। শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাধি সৌধ গ্রন্থাগার’-কে একটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সম্প্রতি গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র’ নামে একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জনগণের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আগ্রহের প্রেক্ষিতে আমাদের সরকার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবনে একটি আধুনিক লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণালব্ধ বইসহ অন্যান্য পাঠসামগ্রী সংরক্ষিত আছে। ঢাকায় পাকিস্তানি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের একটি শাখা চালু হয় ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে। এটি ছিলো জাতীয় গ্রন্থাগার নির্মাণের প্রথম ধাপ। তবে কার্যত বাংলাদেশে জাতীয় গ্রন্থাগার চালু হয় ১৯৭৩ সালে। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারকে বাংলাদেশ জাতীয় মহাফেজখানা ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীনে আনা হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনের একটি প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, একুশের বইমেলা এবং ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দিবস পালনের জন্যই ৫ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নেওয়া হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে। জাতীয় গ্রন্থাগার দেশের অন্যান্য গ্রন্থাগারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে অত্যন্ত সাধারণভাবে জাতীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান চর্চার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে এই গ্রন্থাগারে প্রায় চার লাখ বই সংগৃহীত আছে। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ দুর্লভ পুস্তক, পত্রিকা ও পান্ডুলিপিসহ রাখা আছে। সংগ্রহে আছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপ মহাদেশের বিপুল সংখ্যক পুরনো মানচিত্র। মূলত জাতীয় গ্রন্থাগার একটি জাতির ইতিহাস ,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে, যা ঐ দেশ এবং জাতিকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। |
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওয়াহিদুজ্জামান ফোনঃ +৮৮-০১৭৪২৩৪১৫২৩ ইমেইলঃ wzaman288@gmail.com |
স্মরনিকা ২৪৭, টুটপাড়া মেইন রোড, খুলনা-৯১০০, বাংলাদেশ । মোবাইলঃ+ ৮৮-০১৯২২৫৫৭৮৯৬ ইমেইলঃ dkhulnanews@gmail.com |
কপিরাইট © ২০১৭ | সর্বস্বত্ব ® স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ডিজিটালখুলনা.কম | উন্নয়নে Real IT Solution |